ডোমারে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ৩৬ ঘর পুড়ে ছাই

পুড়ে যাওয়া ঘর (ছবি- প্রতিনিধি)

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় পৃথক অগ্নিকাণ্ডে ১২টি পরিবারের ৩৬টি ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। এসময় আগুনে দগ্ধ হয়ে ৫টি গরু, ১৫টি ছাগল, শতাধিক হাঁস-মুরগি মরে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকালে উপজেলার পাঙ্গা ইউনিয়নের জলদান পাড়া এবং বামুনিয়া ইউনিয়নের ভাটিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়রাম্যান আব্দুল মজিদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পাঙ্গা গ্রামের জলদানপাড়ার মোকছেদ আলীর বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মোকছেদসহ ওই এলাকার ৭টি পরিবারের ১৪টি বসতঘর, ৭টি রান্নাঘর ও ৫টি গোয়াল ঘর এবং এসব ঘরে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, চাল, আলু, স্বর্ণালঙ্কার সব পুড়ে ছাই হয়। এছাড়া, অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৫টি গরু ও ১৫টি ছাগল এবং শতাধিক হাঁস-মুরগি মারা যায়।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ডোমার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, আগুনে তাদের ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বুলেট জানান, সকাল ৯টার দিকে ইউনিয়নের ভাটিয়া পাড়ায় আমেনা বেগমের বাড়িতে বৈদ্যতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে আমেনা বেগমসহ ওই মহল্লার পাঁচটি পরিবারের ৫টি বসতঘর ও ৫টি রান্নাঘর এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়।

তিনি আরও জানান, ডোমার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর বরাতে তিনি দাবি করেন, আগুনে পাঁচটি পরিবারের  অন্তত ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ডোমার ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা শামসুল হক বলেন, ‘পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মৌজা পাঙ্গা গ্রামের জলদান পাড়ায় মোকছেদ আলীর বাড়িতে জ্বলন্ত কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে সাতটি পরিবারের ১৪টি বসতঘর, ৭ টি রান্নাঘর ও ৫টি গোয়াল ঘর পুড়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের ভাটিয়া পাড়ায় আমেনা বেগমের বাড়িতে বৈদ্যতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আগুন ধরে। এতে পাঁচটি পরিবারের ১০টি বসতঘর ও নগদ ৩০ হাজার টাকা পুড়ে যায়।’

এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করে প্রত্যেক পরিবারকে দুই হাজার করে নগদ টাকা, একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি  বিতরণ করেন।