ফারুক হত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ মার্চ

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যাকাণ্ড

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এরপর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে ২১ মার্চ। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী ও নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আংশিক সাক্ষগ্রহণের পর বেলা পৌনে ১টার দিকে আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে কারা অ্যাম্বুলেন্সে করে এমপি রানাকে টাঙ্গাইল কারাগারে আনা হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাড. মনিরুল ইসলাম খান, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. আব্দুল গফুর, অ্যাড. এস আকবর খান, অ্যাড. জোয়াহেরুল ইসলাম প্রমুখ। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাড. ফায়জুর রহমান, অ্যাড. খন্দকার নাজিম উদ্দিন, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার বাসার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এমপি আমানুর ও তার তিন ভাইয়ের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। প্রায় দুই বছর পলাতক থাকার পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকে তাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিন নুরু ও মাসুদুর রহমান মাসুদ নামে আরও দু’জন অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ৯ বার তারিখ পেছানোর পর গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত।