বুধবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ৯ দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৭ ফেব্রয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে উপাচার্যের একক সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ৪ মার্চ বিকালে একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের দফতরে গিয়ে আগের ২৫টি বিভাগের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে নতুন বিভাগ না খোলাসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এসব দাবি নিয়ে উপাচার্যের দফতরের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ কয়েকজন শিক্ষকের বাগবিতণ্ডা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিকালেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রেজিস্ট্রারের দফতরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন প্রক্টর মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির আগেই ব্যক্তিগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা বিক্ষোভ নিয়ে আমার কোনও দায় নেই।’
প্রক্টর মুশফিকুর রহমানের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক। তবে পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে কি না— সে সিদ্ধান্ত উপাচার্য নেবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন-
সৈয়দপুরে ৪৫ ঘর আগুনে পুড়ে ছাই
ফারুক হত্যা মামলা: তৃতীয় দফায় স্বাক্ষ্যগ্রহণ