৩ মাসে হিলি সীমান্ত এলাকায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল উদ্ধার

হিলি সীমান্ত থেকে ১১ মার্চের অভিযানে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি শিং মাছের পোনাদিনাজপুরের হিলিসহ আশপাশের সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত তিন মাসে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যসসহ বিপুল পরিমাণে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব পণ্যের মূল্য চার কোটি ৬০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এসব অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছরে সীমান্তে উদ্ধার হওয়া মাদক ও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পরিমাণ অনেক বেশি। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজিবির অভিযানে উদ্ধার হওয়া পণ্যের মূল্য ছিল ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭০ টাকা। সেখানে চলতি ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাস শেষ না হতেই সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের পণ্য উদ্ধার করলো বিজিবি।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলমান মার্চ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালিয়েছে বিজিবি। এসব অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। এর মধ্যে রয়েছে ফেনসিডিল, মদ, হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবা, বিয়ার, কুপিজেসিক অ্যামপল, ইনজেকশন এম কে ডাইল, ভুবরিনরফিন, জসিন, নিউসিপ, কপিডিল, টার্গেট ইত্যাদি। এ ছাড়া, পেরিয়াকটিন ট্যাবলেট, কফ সিরাপ, বেটনোভেট ক্রীমের মতো বিভিন্ন ওষুধও রয়েছে উদ্ধার হওয়া পণ্যের তালিকায়।
সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা ফেনসিডিল, ১৪ মার্চের অভিযানে এসব ফেনসিডিল আটক করা হয়বিজিবির অভিযানে উদ্ধার হওয়া অন্যান্য ভারতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, শাড়ি, কারেন্ট জাল, শার্ট ও প্যান্ট পিছ, প্যান্টের থান কাপড়, থ্রি পিছ, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ইমিটেশন অলঙ্কার, মুরগির ডিম, নারীদের গায়ের চাদর ও সোয়েটার, স্টিল, বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ, ফুচকা, আনার ফল, আঙুর, খেজুরের গুড়, ভ্যান গাড়ি, পোস্তদানা, প্লেয়িং কার্ড, পান, গরু, বিছানার চাদর, বউ টুপি, পাপড়, লবণ, বিট লবণ, শনপাপড়ি, ভারতীয় রুপি, বিষ, গরুর মাংস, হরলিক্স ও বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস পণ্য।
এর বাইরেও বাংলাদেশি শিং মাছ, পাবদা মাছ, পেঁয়াজের ফুল ও উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশি টাকাও।

জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিছুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সীমান্তে চোরাচালান, মাদক, নারী ও শিশু পাচারসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে বিজিবি সবসময় সতর্ক। পাশাপাশি সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়। এরই অংশ হিসেবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে উদ্ধার মাদকসহ ভারতীয় পণ্যের মূল্য সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি।
সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এই অধিনায়ক।
আরও পড়ুন-
বরগুনায় ১০ জেলে পরিবারের মানবেতর জীবন
প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে নীলফামারীর ২৭৪টি স্কুল