বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছরে সীমান্তে উদ্ধার হওয়া মাদক ও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পরিমাণ অনেক বেশি। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজিবির অভিযানে উদ্ধার হওয়া পণ্যের মূল্য ছিল ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭০ টাকা। সেখানে চলতি ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাস শেষ না হতেই সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের পণ্য উদ্ধার করলো বিজিবি।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে চলমান মার্চ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালিয়েছে বিজিবি। এসব অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। এর মধ্যে রয়েছে ফেনসিডিল, মদ, হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবা, বিয়ার, কুপিজেসিক অ্যামপল, ইনজেকশন এম কে ডাইল, ভুবরিনরফিন, জসিন, নিউসিপ, কপিডিল, টার্গেট ইত্যাদি। এ ছাড়া, পেরিয়াকটিন ট্যাবলেট, কফ সিরাপ, বেটনোভেট ক্রীমের মতো বিভিন্ন ওষুধও রয়েছে উদ্ধার হওয়া পণ্যের তালিকায়।
এর বাইরেও বাংলাদেশি শিং মাছ, পাবদা মাছ, পেঁয়াজের ফুল ও উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশি টাকাও।
জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিছুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সীমান্তে চোরাচালান, মাদক, নারী ও শিশু পাচারসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে বিজিবি সবসময় সতর্ক। পাশাপাশি সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়। এরই অংশ হিসেবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে উদ্ধার মাদকসহ ভারতীয় পণ্যের মূল্য সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি।
সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এই অধিনায়ক।
আরও পড়ুন-
বরগুনায় ১০ জেলে পরিবারের মানবেতর জীবন
প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে নীলফামারীর ২৭৪টি স্কুল