নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, করিমপুরের ভগারগঞ্জ গ্রামের মো. মোস্তাফা (৩২),আমির আলী (৫৫), জমির আলী (৫০) ও হবি মিয়া (৭০)।
পুলিশ ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভগারগঞ্জ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের সঙ্গে আধিপত্য ও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাচ্চু মিয়ার দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারিছ মিয়া বিষয়টি সমাধানের জন্য দুবার গ্রাম্য সালিশ বসিয়েছিলেন। সেই সালিশে সমঝোতাও হয়।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বিকালে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের জনসভায় যোগ দিতে গেলে সেখানে বাচ্চু মেম্বার গ্রুপের সঙ্গে কামাল গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে বাচ্চু মেম্বার তার দলবল নিয়ে কামাল গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে ১৫ জন আহত হয়।
নরসিংদী সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পুলিশ মোতায়েন আছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’