দূর্গাপুরে বিয়ের এক সপ্তাহ পর নববধূর লাশ উদ্ধার

নেত্রকোনাবিয়ের এক সপ্তাহ পর নেত্রকোনায় শোবার ঘর থেকে হালিমা বেগম (২০) নামের এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে দূর্গাপুর থানা পুলিশ। দুর্গাপুর উপজেলার গাভাউতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের বাবার অভিযোগ, হালিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে। তবে হালিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাভাউতা গ্রামের আবুল হাসিমের ছেলে বিল্লাল মিয়ার (২৮) সঙ্গে গত ১৬ মার্চ পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের আন্ধা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে হালিমা বেগমের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে হেলাল উদ্দিন হালিমার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মেঝের ওপর তার লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।

হালিমার বাবা হেলাল উদ্দিন শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিয়ের সময় বিল্লালকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। তাকে আরও কিছু টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে টাকা দিতে না পারার কারণেই বিল্লাল আমার মেয়েকে হত্যা করে এখন ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রচার চালাচ্ছে। তারা বলছে হালিমা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘নিহতের গলায় হালকা দাগ রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই ঘটনা জানা যাবে।’