ছেলের জন্য নকল প্রস্তুতের সময় ধরা প্রভাষক বাবা, কারাদণ্ড

পিরোজপুরপিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছেলের জন্য নকল প্রস্তুত করার সময় শনিবার পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন প্রভাষক বাবা আ. মালেক ও তার সহযোগী প্রভাষক আমিরুল ইসলাম। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহম্মেদ আ. মালেককে এক মাস ও তার সহযোগী প্রভাষক আমিরুল ইসলামকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। তারা দুজনই ইন্দুরকানী কলেজের প্রভাষক।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, ইন্দুরকানী কলেজের প্রভাষক আ. মালেকের ছেলে ফাহিম শাহরিয়ার ইন্দুরকানী কলেজে মানবিক বিভাগের ছাত্র। এবার সে ইন্দুরকানী সদরের এফ করিম আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এ পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছেই ইন্দুরকানী কলেজের আরেক প্রভাষক আমিরুল ইসলামের বাড়ি।

শনিবার  ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা চলাকালে গোপন সংবাদে জানা যায় প্রভাষক আব্দুল মালেক প্রভাষক আমিরুল ইসলামের বাড়িতে বসে ছেলের জন্য নকল প্রস্তুত করছেন। এরপর পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আ. মালেক ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক আমিরুল ইসলামকে বইপত্রসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও ৩ সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

 ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিকালে আটক প্রভাষক আ. মালেক ও প্রভাষক আমিরুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহম্মেদ আ. মালেককে এক মাস ও আমিরুল ইসলামকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকে প্রভাষক আ. মালেক প্রতিদিন পরীক্ষার হলে পাশ থেকে মোবাইল ফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে বাইরে নিয়ে আসেন এবং এর উত্তর তৈরি করে পরীক্ষা হলে ছেলের কাছে সরবরাহ করতেন।

ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহম্মদ জানান, পরীক্ষা চলাকালীন বইপত্রসহ প্রভাষক আ. মালেক ও প্রভাষক আমিরুল ইসলামকে আটক করে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আ. মালেককে এক মাস ও আমিরুল ইসলামকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।