গাজীপুর সিটি নির্বাচন: নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের ৩৬ শতাংশ গৃহিণী

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ৮৪ জন। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ প্রার্থীই গৃহিণী। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এ নির্বাচন কর্মকর্তা।

তিনি জানান, শিক্ষার দিক থেকে ৬ জন স্নাতকোত্তর এবং ৫ জন স্নাতক ডিগ্রিধারী। এছাড়া ৬ জন আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। অন্যান্যদের মধ্যে ৭ জন উচ্চ মাধ্যমিক, ১০ জন মাধ্যমিক, ২ জন দশম শ্রেণি, ২৮ জন অষ্টম শ্রেণি পাস রয়েছেন। এছাড়াও ৮ জন স্বশিক্ষিত ও ১৬ জন অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের অনেকেই ব্যবসা বা চাকরির সঙ্গে যুক্ত বলে হলফনামায় তথ্য দিয়েছেন। তবে হিসেব করে দেখা যায় ৩৬ শতাংশ প্রার্থীই গৃহিণী।

এ ব্যাপারে ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আফসানা আক্তার ও মোর্শেদা বেগম বলেন, ‘এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে দ্রুততম সময়ে তাদের কাছে যাওয়াটা একজন জনপ্রতিনিধির অন্যতম যোগ্যতা। শিক্ষিত এবং নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ না দেখাটাও জনপ্রতিনিধি হিসেবে এক ধরনের অযোগ্যতা। এরকম হলে সে শিক্ষার কোনও মূল্য নেই।’

একই এলাকার সাবেক নারী কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা স্নাতকসহ আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সভায় রেজ্যুলেশন লেখা, পড়া, সভায় মতামত প্রদান করা একজন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব ও কর্তব্য। দেশি, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার লোকজন নানা সময়ে সিটি করপোরেশন পরিদর্শন করেন। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কর্মশালায় অংশ নিতে হয়। তাদের ভাষা থাকে ইংরেজি। শিক্ষিত না হলে তাদের ভাষাও বোঝা যাবে না। তাছাড়া শুধু ইংরেজি বা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, কোনও কাগজপত্র ও হিসাব-নিকাশ বোঝার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন। গত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, জনপ্রতিনিধি হতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটাকে ব্যক্তিগতভাবে অপরিহার্য মনে করি।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর মহানগর কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজীব জানান, তারা প্রার্থীর হলফনামা, আয়-ব্যয়ের হিসাব, অর্থ-বিত্তের হিসাব ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়গুলো ভোটারদের মধ্যে প্রচার করবেন। এ ক্ষেত্রে ভোটাররা প্রার্থীদের সকল প্রকার তথ্য দেখে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী, তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। সিটি করপোরেশনে মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫৭টি। সে হিসেবে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন ১৯ জন।

প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী- আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে মোট ভোটার রয়েছেন ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১১২ জন।