লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হিলি স্থলবন্দরে

হিলি শুল্ক স্টেশন২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে এ সময়ের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এসময় বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রথম ৯ মাসেই আহরণ হয়েছে ১৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

হিলি স্থলবন্দরের কাস্টম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে চার কোটি ১২ লাখ টাকার বিপরীতে ২৬ কোটি ২৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকার রাজস্ব আহরণ হয়। আগস্ট মাসে ৬ কোটি ১১ লাখ টাকার বিপরীতে ১২ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা; সেপ্টেম্বর মাসে ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিপরীতে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার টাকা; অক্টোবর মাসে ১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বিপরীতে ১১ কোটি ৮৭ লাখ ২২ হাজার টাকা; নভেম্বর মাসে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার বিপরীতে ১৯ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা; ডিসেম্বরে ১০ কোটি ১২ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ১৬ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। জানুয়ারি মাসে ২৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার বিপরীতে ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা; ফেব্রুয়ারিতে ১৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বিপরীতে ২৩ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার টাকা এবং মার্চ মাসে ২২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২২ কোটি ৭৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ১১৪ কোটি ৪ লাখ টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এই সময়ে এর বিপরীতে প্রথম ৯ মাসেই আহরিত হয়েছে ১৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়তি ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকার রাজস্ব আহরিত হয়।

হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশনের ডেপুটি কমিশনার রিজভী আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হিলি স্থলবন্দর থেকে বাড়তি রাজস্ব আহরণের প্রধান কারণ হচ্ছে সম্প্রতি বন্দর দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাল আমদানি হয়েছে।

এছাড়াও বন্দর দিয়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন খৈল, ভুষি, পাথর, পেঁয়াজ, কাঁচা ও শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হওয়ায় রাজস্ব আহরণ বেড়েছে।

তিনি আরও জানান, আমাদের কাস্টমস কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানি, রফতানিকারক ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতার কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালিত হওয়ায় বন্দর থেকে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে।