কেসিসি নির্বাচন: ফের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ খালেক-মঞ্জুর

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনপরস্পরের বিরুদ্ধে আবারও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন দুই মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও নজরুল ইসলাম মঞ্জু। পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতীক বরাদ্দের আগেই দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচার চালানোর অভিযোগ এনেছেন তারা।

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুস আলী বলেন, ‘শনিবার (২১ এপ্রিল) আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়বস্তু তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শনিবারের আগে পাওয়া সব অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক রিটার্নিং অফিসারের কাছে শনিবার করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু গত ১৮ এপ্রিল খুলনা প্রেস ক্লাবে প্রেস ব্রিফিংকালে রঙিন ব্যানার ব্যবহারসহ সেখানে ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহার করেছেন। যা ১৯ এপ্রিল স্থানীয় সব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা আচরণবিধির ২ এর ৭নং অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিযোগে তিনি বলেন, ‘এ অপরাধে তার (মঞ্জু) মনোনয়নপত্র বাতিলযোগ্য হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

একইদিনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু তার অভিযোগে বলেছেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়তই চলছে শাসক দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সরকারি দলের নেতাদের প্রচার। শুক্রবার রাতে নগরীর একটি ক্লাবে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে সভা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।’ এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে শনিবার রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন কর্মকাণ্ড সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০১৬ এর ২২নং বিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়ে নির্বাচনি আচরণবিধির ৩১ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান মঞ্জু।