পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়ে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পার মল্লিকপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুর ও মৃধা গ্রুপের মধ্যে দ্ব›দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। এর জের ধরে শনিবার সকাল সাতটার দিকে ঠাকুর গ্রুপের লোকজন মৃধা গ্রুপের লিটু (৪৭) ও আকরামকে (৪০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে মৃধা গ্রুপের লোকেরা ঠাকুর গ্রুপের খায়েরকে (৪০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে আহত খায়েরকে ঢাকার নেওয়ার পথে ফরিদপুরে বসে তিনি মারা যান। এদিকে পার মল্লিকপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী পিংকি খানমসহ আনিস, রিয়াজুল ঠাকুর, নিয়ন ও সজীব শেখ শটগানের গুলিতে আহত হয়েছেন। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। আহতরা জানান, পুলিশের গুলিতে তারা আহত হয়েছেন। অবশ্য পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আহতদের প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
/