ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ায় মেম্বার কারাগারে

কারাগার

বরিশালে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক ইউনিয়ন মেম্বারসহ চারজনকে বুধবার কারাগারে পাঠিছেন আদালত। বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) খোন্দকার আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার প্রধান আসামি রাজিহার ইউনিয়নের মেম্বার শামীম তালুকদারসহ মিজান সরদার, ইলিয়াস সরদার ও মাঈনুদ্দিন সরদার বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসর্ম্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এসময় বিচারক শিহাবুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি আরও জানান,এ মামলার আরও  চার আসামি মুন্না তালুকদার, খবির সরদার, মিলন হাওলাদার ও নয়ন হাওলাদার আগে থেকেই কারাগারে রয়েছে। বর্তমানে এ মামলার ৮ আসামির সবাই কারাগারে রয়েছে বলে জানান ওসি।

রাজিহার ইউনিয়নের পঞ্চম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী লিমন সরদার, নয়ন হাওলাদার ও ফেরদৌস হাওলাদারকে নিয়ে নৌকায় করে শাপলা তুলতে চৌদ্দমেদা বিলে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া ইউপি মেম্বার শামীমের নির্দেশে তার সহযোগীরা ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।

এরপর শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা সহপাঠীদের দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করিয়ে সেই দৃশ্য ফোনে ধারণ করে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ৯০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।  চাঁদা না দেওয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয় মেম্বার ও তার সহযোগীরা।

এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ওই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করে।

মামলার পর নির্যাতিত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট, পুলিশ বিভাগের আলোকচিত্র-শাখাবিদদের মতামত, সিআইডির মতামত পর্যালোচনা,সাক্ষীদের জবানবন্দি ও পুলিশের তদন্তে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে গত ৭ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হলে বিচারক তা গ্রহণ করেন।