‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাদক পাচারের রুট পরিবর্তন করেছে ব্যবসায়ীরা’

বক্তব্য রাখছেন ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অভিযানে ব্যবসায়ীরা মাদক পাচারের রুট পরিবর্তন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ মহা-পরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনির-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীরা রুট পরিবর্তন করে এখন নদীপথে মাদক পাচার করেছে। তারা প্রতিনিয়ত নতুন পথ তৈরি করছে। নদীপথে সন্দ্বীপ, হাতিয়া ইত্যাদি জায়গায় ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক নিয়ে যাচ্ছে।’

বুধবার (২৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় ডিআইজি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মনির-উজ-জামান বলেন, ‘মাদকের থাবা থেকে মুক্ত করতে যতটা কঠোর হওয়া দরকার, আমরা ততটাই কঠোর হবো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ধরে অভিযান চলছে। পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে সেও রেহাই পাবে না। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদক চোরাচালনা বন্ধে নৌপথেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে টার্মিনাল ও যাত্রাপথে ছিনতাইকারী, প্রতারক, পকেটমার, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ডিআইজি বলেন, ‘রমজান মাসে সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অধিক রাত পর্যন্ত কেনাকাটার সুবিধার্থে নৈশটহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে টার্মিনাল ও যাত্রাপথে ছিনতাইকারী, প্রতারক, পকেটমার, অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এসময় তিনি চট্টগ্রামের ১১ জেলার পুলিশ সুপারকে রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং, অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশনা দেন।