আখাউড়া হয়ে ভারতে গেলো স্টিল পাইপ

ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পৌঁছেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য স্টিল পাইপের প্রথম চালান। বুধবার সকাল থেকে পাঁচটি ট্যাংক লরিতে করে ১৬২ টন স্টিল পাইপ আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দরে পৌঁছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পৌঁছে চালানটি। আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টিল পাইপ বহনের জন্য বাংলাদেশের বিআইডব্লিউটিএ থেকে ২৫ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত অনুমতি নেয় ভারত। গত ২৫ এপ্রিল ভারতের কলকাতার হলুদিয়া নৌবন্দর থেকে এমভি মহাদেব নামে একটি ভারতীয় জাহাজ এক হাজার ৭৩১ টন স্টিলের পাইপ নিয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে।

গত ২১ মে এমভি মহাদেব নামে জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে ভেড়ে। মঙ্গলবার জাহাজ থেকে স্টিলের পাইপ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে  নামানো শুরু হয়। বুধবার সকালে নৌবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাঁচটি ট্যাংক লরিতে করে ১৬২ টন স্টিল পাইপ সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছে। বিকালে স্টিলে পাইপ আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পৌঁছে। বিআইডব্লিউটিএ এর আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, ভারতের পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩১ টন স্টিল পরিবহনে বাংলাদেশ প্রতিটনে ভয়েজ পারমিশন চার্জ, পাইলট অবস্থান চার্জ, ল্যান্ডিং চার্জ, চ্যানেল ফি ও নরাপত্তা ফিসহ প্রতি টনে ১৯২ টাকা করে পাবে। তিনি জানান, ১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকল চুক্তির ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় জলপথ ও স্থলপথ ব্যবহার করে  স্টিলের পাইপ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নেওয়া হচ্ছে।

পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক মো. নুরুজ্জামান জানান, পুরো চালানটি ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠাতে প্রায় একমাস সময় লাগবে।