হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বরিশালে এমপিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মামলা

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সঞ্জয় চন্দ্রকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বরিশাল-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (২৪ জুন) কাজীরহাটের বিদ্যানন্দপুর ৫ নম্বর পূর্ব রতনপুরের সাবেক ইউপি সদস্য সঞ্জয় চন্দ্র বাদী হয়ে বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত এই মামলার অভিযোগ তদন্ত করে মেহেন্দিগঞ্জের সার্কেল এসপিকে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের বেঞ্চ ক্লার্ক (পেশকার) হাফিজ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চরহোগলা এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র আমু, হারুন বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারী, হারুন খন্দকারের ছেলে রিমন খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরও তিন জন।

মামলার বিষয়ে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করাচ্ছে। গত ৪ বছর ধরে হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এলাকার উন্নয়নে আমি যে সহযোগিতা করছি সেটা একটি মহলের সহ্য হচ্ছে না।’ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হলে আসল  রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেও তিনি জানান।

জানা যায়, এমপি পঙ্কজ দেবনাথের ছোট ভাই ও তার স্ত্রীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে সঞ্জয় চন্দ্র দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়ের করেছেন বলেও এই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনার কারণে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সঞ্জয়কে বিভিন্ন সময় লোক দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও বিভিন্ন মামলায় আসামি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এমপি পঙ্কজ দেবনাথ তাকে (মামলঅর বাদী সঞ্জয়কে) নেওয়ার জন্য ১২ জুন রাত ১১টায় আসামি আমু, সোহাগ বেপারী, রিমনসহ তিন চার-জনকে পাঠায়। সঞ্জয় যেতে না-চাইলে জোর করে তাকে মেহেন্দিগঞ্জ ডাক-বাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এমপি পঙ্কজ দেবনাথ এবং অন্যরা তাকে মারধর করে। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাছকাটা নদীতে ফেলে দেয়। তাকে উদ্ধারের পর মেহেন্দিগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হলে আসামিরা সেখানে যেতে বাধা দেয় বলেও জানানো হয়।