বিসিসিতে নির্বাচনি প্রচার শুরু, সুষ্ঠু পরিবেশ চান প্রার্থীরা

বরিশালে নির্বাচনি প্রচার শুরুবরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় প্রার্থী, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড  কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং  সংরক্ষিত ১০ মহিলা কাউন্সিলর  পদে ৩৫ প্রার্থীন মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে  রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এই প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই অনেক প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাকে নৌকা, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ারকে ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপসকে লাঙল প্রতীক, ইসলামিক আন্দোলনের ওবায়দুর রহমান মাহাবুবকে হাতপাখা, কমিউনিস্ট পাটির একে আজাদকে কাস্তে-হাতুড়ি এবং বাসদের মনীষা চক্রবর্ত্তীকে মই প্রতীক দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের প্রতি। সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব। অপরদিকে ক্ষমতাসীনরা ইতোমধ্যে শ্রমিক নেতাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাসদের প্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী।

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন সমন্বয়কারী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু  ও নিরপেক্ষ হবে এবং পুরো নির্বাচনি কার্যক্রম উৎসবমুখর পরিবেশেই হবে। বরিশালের জনগণ তরুণ নেতা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।’বরিশালে নির্বাচনি প্রচার শুরু

বরিশাল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান বলেন, ‘যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহার কার্যক্রম শেষে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ছয় জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৫, ১৬, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন ও সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক জন প্রার্থী এককভাবে রয়েছেন।  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী এই চার জন বাদে সব প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা নির্বাচনি বিধি-নিষেধ মেনে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

জানা গেছে, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫, ১৬, ১৯  নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী  হয়েছেন। অন্যদিকে ৪নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (সাধারণ ১০-১১-১২ নং ওয়ার্ডে) আসনে বিএনপি সমর্থিত আয়েশা তৌহিদা লুনা একক প্রার্থী থাকায় তিনিও বিজয়ী হয়েছেন।

আগামী ৩০ জুলাই  নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৩ কেন্দ্রে ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটার বেছে নেবেন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের।

আরও পড়ুন- 

উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ, প্রচার শুরু রাজশাহীতে

প্রতীক পেয়েই প্রচারে নেমেছেন সিলেটের প্রার্থীরা