দণ্ডপ্রাপ্ত পলাশের বাড়ি নাজিরপুরের মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বরইবুনিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত হিঙ্গুল আলী। পিরোজপুর জেলা জজ আদালতের পিপি খান মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ও বর্তমানে স্বরূপকাঠি থানার উপপরিদর্শক সনজীব কুমার পাহলান জানান, ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের উত্তর ঝনঝনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমিনুল ইসলাম পলাশকে তিনি আটক করেন। এ সময় তিনি আমিনুল ইসলাম পলাশের দেহে তল্লাশি চালিয়ে ৭৪টি ইয়াবা, মাদক বিক্রির ১২ হাজার ৩৫৫ টাকা ও একটি ইয়ামাহা এফ জেড ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
উপপরিদর্শক সনজীব পাহলান জানান, পলাশের ভাষ্য অনুযায়ী এ মামলায় সাঈদ মোল্লা ও নাজমুল হক মোল্লাকে আসামি করা হয়। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর নাজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন আমিনুল ইসলাম পলাশ, সাঈদ মোল্লা ও নাজমুল হক মোল্লার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সাঈদ মোল্লা ও নাজমুল হক মোল্লাকে বেকসুর খালাস দেন। আর আমিনুল ইসলাম পলাশকে ৬ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন- স্থানীয় সালিশে কিশোরীর মাথা ন্যাড়া