বরগুনার পাথরঘাটায় ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু

বরগুনা


বরগুনার পাথরঘাটায় সৌদি প্রবাসী নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিজারের সময় মোসা. সালমা বেগম (২৫) নামে এক প্রসূতি মার মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। শনিবার (১৪জুলাই) রাত ২টার দিকে পাথরঘাটা সৌদি প্রবাসী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর খবর শুনে আত্মীয়স্বজন এবং এলাকাবাসী ক্লিনিকটি ঘেরাও করেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসক ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
সালমা বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের শিকারীপাড়া গ্রামের মো. মনির হোসেনের স্ত্রী ও পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের বড়পাথরঘাটা গ্রামের হানিফার মেয়ে।
মো.মনির জানান, প্রসবজনিত ব্যাথা অনুভূত হলে সালমাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে চিকিৎসক রুনা রহমান অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সিজার করান। ঘন্টাখানেক পর অপরাশেন থিয়েটার থেকে বের করে সালমার হাইপ্রেসার বলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে যেতে বলে। তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সযোগে পাথরঘাটাউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহর কাছে রোগীর সবশেষ অবস্থা পরীক্ষার জন্য গেলে তিনি সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আরও দেড় ঘন্টা আগে মারা গেছে সালমা।
অপারেশনের সময় ওটিতে থাকা সেবিকা দীপা রানী বলেন, ডাক্তার রুনা রহমান প্রায় ১০ থেকে ১৫ বার তাকে অজ্ঞান করার ইনজেকশন দেন। এদিকে আনোয়ার উল্যাহ জানান, রুনা রহমান সার্জারি ডাক্তার নন।
উপজেলার কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র ক্লিনিকে গিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে মরদেহটি বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো.খবীর আহমেদ ফোনে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।