ভাইকে ফাঁসাতে সন্তানকে হত্যা!

হবিগঞ্জহবিগঞ্জের বাহুবলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাইকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ফরিদ মিয়া (৪৫)। সোমবার বিকালে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর আক্তারের আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানায়, জেলার বাহুবল উপজেলার সুয়াইয়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই শুকুর মিয়ার (৫৫) সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে শুকুর মিয়া ও তার ছেলেরা ফরিদ মিয়াকে মারধর করে। ফরিদ মিয়া দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে কোনও রকম সংসার চালিয়ে আসছিল। ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের সম্রাট মিয়ার ছেলে সাজন মিয়াকে (২০) নিয়ে সে তার ভাইকে ফাঁসাতে চক্রান্ত করে। এরপর নিজের ছোট মেয়ে নাইমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

জবানবন্দিতে ফরিদ মিয়া জানান, ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট মেয়ে নাইমা স্কুল থেকে বাড়ি এসে থালাবাসন ধুতে পুকুর ঘাটে যায়। পরে সাজনকে নিয়ে ফরিদ মিয়া পুরাতন একটি মশারি দিয়ে পুকুর ঘাটেই নাইমার মুখ চেপে ধরে পুকুরের কিনারায় ঝোপের নিচে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে নাইমার ওপর কচুরিপানা দিয়ে চলে আসে। পরদিন পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ ঘটনার পরদিন ভাইয়ের পরিবারের ছয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে ফরিদ। দীর্ঘ ১০ মাস তদন্ত শেষে এই লোমহর্ষক ঘটনা বেরিয়ে আসে।

নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে, ভাইকে ফাঁসাতেই ফরিদ মিয়া তার কন্যাকে হত্যা করেছে। এ প্রেক্ষিতে সোমবার বিকালে ফরিদ মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- ওসমানী মেডিক্যালে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটি