নরসিংদীতে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ১০

ধুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া লেগুনা (ছবি- প্রতিনিধি)নরসিংদীর শিবপুরে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু ও নারীসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২০ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কোন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউর রহমান এ খবর নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন- রায়পুরা সদরের রামনগর হাটির নুরুন্নাহার বেগম (৬৫) ও তার দুই মেয়ে হাসিনা আক্তার (৩২), মার্জিয়া আক্তার (১৭) এবং প্রতিবেশি জান্নাত বেগম (১৪), বায়েদ উদ্দিন (১০) ও লেগুনা চালক মাসুম মিয়া (২১)। আহত ১০ জনের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্র জানায়, আজ (শুক্রবার) সকালে রায়পুরা উপজেলার রামনগর এলাকার প্রায় ৭০-৮০ জন নারী-পুরুষের একটি দল পাঁচটি লেগুনায় ‘ড্রীম হলিডে পার্কে’ ঘুরতে যায়। রাতে ফেরার পথে শিবপুরের কোন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একটি লেগুনার সঙ্গে এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আনার পথে তারা মারা যান। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে এনা পরিবহনের বাস চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি। দুর্ঘটনায় মোট ছয় জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন। আহতদের মধ্যেও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এমএন মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতালে মোট ১২ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন মৃত। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ছয় জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর নরসিংদী সদর হাসপাতালে এক শিশু ও একজন নারীর লাশ রয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ছয় জন নিহত হয়েছেন।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউর রহমান বলেন, ‘নিহতদের সবাই রামনগর এলাকার বাসিন্দা, সেটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।’