সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য: রাষ্ট্রপতি


ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।  তিনি বলেছেন,বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে কৃষি মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
আজ রবিবার (২২ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য হিসেবে বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরিতা মোকাবিলা করে খাদ্য শস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কৃষি ভর্তুকি, কৃষকদের অনুকূলে সার, সেচ, বীজ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাবদ ব্যাপক ভিত্তিতে সরকারের কৃষি সহায়তার পাশাপাশি কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিবিদদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদনে  অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আলী আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি, সাবেক ভিসি ড. এমএ সাত্তার মন্ডল, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ, কৃষিবিদসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।  
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ আরও বলেন, কৃষির সব মৌলিক ও প্রায়োগিক বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে দক্ষ কৃষিবিদ তৈরির পাশাপাশি লাগসই কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার দেশে উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে।   
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এদিন রাষ্ট্রপতির আগমণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছিল নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো।
এদিকে ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪ হাজার ৩শ’ গ্রাজুয়েট ও তাদের পরিবার সদস্যদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শনিবার রাতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্যান্ডেল পুড়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।