সিলেট বিএনপির পর ভোট বাতিলের দাবি জামায়াতেরও

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জামায়াতের মেয়র প্রার্থীবিএনপির পর এবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিলের দাবি করেছে জামায়াতও। সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় সিলেট নগরের সাপ্লাই এলাকায় প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। শিবিরের এক নেতার পায়ে গুলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জামায়াতের এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘সিলেটে নির্বাচনের নামে হয়েছে ভোট ডাকাতির উৎসব। প্রতিটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দিয়ে জাল ভোট দিয়ে ব্যালেট বাক্স ভরে রাখে। অথচ শতাধিক পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এসব অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে মৌখিকভাবে জানিয়ে লাভ হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘নগরের ১৯নং ওয়ার্ডের বখতিয়ার বিভি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের এজেন্টদের ওপর হামলা চালায় নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা আমাদের শিবির নেতা আব্দুল মুক্তাদির ফাহাদের ডান পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি করে। এছাড়াও ১৮নং ওয়ার্ডে ঝেরঝেরিপাড়ায় রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পার্টির এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ককটেল হামলা ও কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে জাল ভোট দেওয়া হয়।’

তিনি আরও জানান, ‘সিলেট নগরের অধিকাংশ কেন্দ্রে যখন আমরা পরিদর্শনে যাই তখন ভোটাররা আমাদের জানিয়েছেন ভোট দিতে গেলে তাদের জানানো হয়েছে মেয়র প্রার্থীর ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে। এছাড়াও নগরের ৮নং ওয়ার্ড, ২১নং ওয়ার্ড, ২৪নং ওয়ার্ড, ২০নং ওয়ার্ড, ১১নং ওয়ার্ড, ১৩নং ওয়ার্ড, ১৫নং ওয়ার্ড, ২১নং ওয়ার্ড, ২৪নং ওয়ার্ড, ২৯নং ওয়ার্ড, ৭নং ওয়ার্ড, ২৬নং ওয়ার্ড, ২৭নং ওয়ার্ড, ১৭নং ওয়ার্ডের শতাধিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে জাল ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা এ প্রসঙ্গে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই আর কী কী ঘটে। এখন পর্যন্ত আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নেইনি।’

তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ৫০টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাল ভোটের মহোৎসব করেছে। একটি কেন্দ্রে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের স্বপ্ন ছিল প্রশাসন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে গেল। আমাদের অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।’

আরও পড়ুন- সিলেটে নির্বাচন বাতিলের দাবি আরিফের