মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) নগরীর সদর রোডের টাউন হলের সামনে মানববন্ধন শেষে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বরিশালের মানুষ এখানে ভোট দিতে পারেনি। এই ভোটের বৈধতা আমরা কোনোভাবেই দিতে পারি না। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। পুরো ভোটটি ছিল একটি নীলনকশার ভোট। যেখানে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর ওপর হামলা হয়, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। এই নির্বাচনের মতো প্রহসনের নির্বাচন বরিশালের ইতিহাসে আর হয়নি। কাজেই এই নির্বাচন অবশ্যই বাতিল করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মেয়র প্রার্থীসহ শতাধিক এজেন্টের ওপর হামলা হয়েছে। হয়রানি করা হয়েছে। এইসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাই।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বাসদের সভাপতি ইমরান হাবিব রুম্মন, বাসদ সদস্য বদরুদ্দোজা সৈকত, মিথুন চক্রবর্তী, সাফিয়া বেগম, কাউন্সিল প্রার্থী কমরেড রেখা, সন্তু মিত্র, এইচ এম ইমন প্রমুখ।
এর আগে নগরীর ফকিরবাড়ী রোডে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে টাউন হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে ছয়জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এক জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৭টি কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ পেয়েছেন ১ লাখ সাত হাজার ৩৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।