রাসিক নির্বাচনে জামায়াতের এক নারী প্রার্থীর জয়

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনরাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১৬টি কাউন্সিলর পদে জামায়াতের প্রার্থী ছিল। এর মধ্যে ১০ নম্বর সংরক্ষিত (২৬, ২৭, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে সুলতানা রাজিয়া জয়লাভ করেছেন। তিনি এর আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনে বালতি প্রতীকে নির্বাচিত হন। জামায়াতের ‘গর্বের’ ওয়ার্ড ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সামাদ ফেল করেছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৩ হাজার ৬৬২। এরমধ্যে ভোট পড়েছে ১০ হাজার ৯৭৫। পাসের হার ৮০.৩৩। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম পিন্টু ৪ হাজার ৬৮৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগের আলাউদ্দিন ৩ হাজার ২১৮ ভোট পেয়েছেন। আর জামায়াতের প্রার্থী আব্দুস সামাদ ২ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়েছেন। আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মইনুল হক ৩৫৫ ভোট পেয়েছেন। তবে সংরক্ষিত আসনে জামায়াতের প্রার্থী সুলতানা রাজিয়া পাস করেছেন। 

জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে জামায়াতের প্রার্থী থাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল না বিএনপির। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের খুব আশাবাদী ছিলেন। কারণ গ্রেফতার হওয়ার আগে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আবু ইউসুফ সেলিম বলেছিলেন, ‘৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জোটের শরিক বিএনপির প্রার্থীও যদি থাকে তারপরও আমাদের প্রার্থী জয়ী হবে। কারণ এই ওয়ার্ডে আমাদের অবস্থান সবসময় ভালো।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে মেয়র প্রার্থী ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। কিন্তু জামায়াত শেষ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ছিল না। তারা তফসিল ঘোষণার আগে নিজেদের প্রার্থী চেয়ে প্রচারণা চালিয়েছিল। কিন্তু আগমুহূর্তে তা মনোনয়নপত্র তোলেনি। তবে রাজশাহী নগর জামায়াতের আমির সেলিম বলেছিলেন, ‘কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে কাজ করছেন। মেয়র প্রার্থী তো জোটের প্রার্থী। সময় হলে পরবর্তীতে নামার সিদ্ধান্ত হবে। আর জোটগতভাবে কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচন হচ্ছে না। তাই কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজের জন্য কাজ করছেন।’

এদিকে ৩০ ওয়ার্ডের পরাজয়ের কারণ জানতে কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সামাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি ২০১৩ সালে নির্বাচনে জয়ী হন।

রাজশাহী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘জামায়াতের কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল। তারা তাদের প্রার্থীর জন্য কাজ করতে পেরেছে কিনা জানি না। তবে এবার জামায়াত নির্বাচনে ভোট দিয়েছে কিনা আমাদের কাছে রহস্য থেকে গেছে। কারণ তাদের একটা রাজশাহীতে ভালো অবস্থান আছে। শেষ পর্যন্ত তারা কেন নির্বাচনি মাঠে নিষ্ক্রিয় থাকলো তা বলতে পারবো না।’

আরও পড়ুন- রাসিকে কাউন্সিলর পদেও আ.লীগের জয়জয়কার