ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে স্পিডগান

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেপরোয়া যান চলাচল কমাতে স্পিডগান ব্যবহার শুরু করেছে পুলিশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান ব্যবহারের কার্যক্রম চালু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। ট্রাফিক সপ্তাহ এবং মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে যানজট ও দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। মহাসড়কে যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ করতে এ কার্যক্রমের সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ। 

কুমিল্লা থেকে দাউদকান্দির যাত্রী মুক্তার হোসেন বলেন, মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের স্পিডগান ব্যবহার যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যেমন যানজট কমবে, তেমনি সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন।

কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক ফাঁকা পেলেই চালকরা ওভারস্পিডে গাড়ি চালাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। যেহেতু সামনে ঈদ, যাত্রীদের চাপ বাড়বে, পরিবহনের চালকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন। তাই গাড়ির চালকদের মাঝে সতর্কতামূলক সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন এ পুলিশ সুপার।

জানা যায়, মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের নির্ধারিত গতি হচ্ছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার এবং পণ্যবাহী ট্রাকের গতি ৪৫-৬০ কিলোমিটার। অধিকাংশ সময় এ গতিসীমা লঙ্ঘন করে অনেক গাড়ির চালক ‘কার আগে কে যাবে’ এমন অসম প্রতিযোগিতায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন।

তিনি বলেন, ঈদুল আজহার আগে মহাসড়কে গাড়ির ওভারস্পিড নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জেলার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যানজট ও দুর্ঘটনাপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় স্পিডগান মেশিনের ব্যবহার চালু করা হচ্ছে। মহাসড়কে ওভারস্পিড, বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্পিডগান ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।