ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাপের কামড়ে এক শিশু ও এক মধ্যবয়সী নারীর মৃত্যু হয়েছে। পীরগঞ্জের বকুয়া ইউনিয়নের গজ-ডুমডাঙ্গী গ্রামের চার সন্তানের মা মৃত শফিউদ্দিনের স্ত্রী রমিশা (৩৫) সাপের কামড়ে মারা যান। অন্যদিকে সোমবার রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নার্সারির ছাত্র জায়েদ হাসান দিপুকে (৭) বিষাক্ত সাপ কামড় দিলে মঙ্গলবার ভোর রাতে মারা যায়।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাতে হরিপুরে সাপের কামড়ে রমিশা নামে (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রাতে রমিশা গোয়ালঘরে ঢুকে গরুকে খাবার দিতে গেলে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রানীশংকৈল উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সাপের কামড়ের পর তার পরিবারের সদস্যরা সাপটিকে মেরে ফেলেন।

অন্যদিকে, সোমবার রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নার্সারির ছাত্র জায়েদ হাসান দিপুকে (৭) নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়। বাড়ির লোকজন রাতে দিপুকে প্রথমে ওঝা দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করায়। এতে কাজ না হলে গভীর রাতে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুল আলম সাপের কামড়ে দুজন মারা যাওয়ার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।

একইদিনে দুজনের সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা. একেএম খায়রুল কবীর টেলিফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঝাড়-ফুঁকে সময় নষ্ট না করে সাপের দংশনে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিষাক্ত সাপের কামড়ের চিকিৎসা রয়েছে। তবে খুব প্রত্যন্ত অঞ্চলে গভীর রাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে রোগীকে বড় হাসপাতালে দ্রুত নেওয়াটা কঠিন।’