বগুড়ায় গৃহবধূকে গলা কেটে ও বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

বগুড়াবগুড়ায় পৃথক ঘটনায় গৃহবধূকে গলা কেটে ও বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলার বড়চাপড়া গ্রামে টিনের দরজা কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ আফরোজা বেগমকে (৩০) গলা কেটে ও বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সদরের যশোপাড়া গ্রামে রাজা মোল্লা (৬০) নামে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার দুজন হলেন বগুড়া সদরের লাহিড়িপাড়া ইউনিয়নের যশোপাড়া গ্রামের ইলিয়াস হোসেন ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রুবেল।

দুটি হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি।

আফরোজাকে হত্যার ঘটনায় দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক ও অন্যরা জানান, নিহত আফরোজা বেগম তালোড়া ইউনিয়নের বড়চাপড়া গ্রামের ঝাড়ু বিক্রেতা আবদুল মান্নানের স্ত্রী। বুধবার আবদুল মান্নান ঝাড়ু তৈরির জন্য উলুকাশার সংগ্রহে পোড়াদহ গ্রামে যান। তার বড় মেয়ে মনিকা (১২) নন্দীগ্রামের গোপালপুর গ্রামে নানাবাড়িতে ছিল। ওইদিন রাতে আফরোজা তার পাঁচ বছর বয়সী ছোট মেয়ে মিলিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে দুর্বৃত্তরা টিনের দরজা কেটে ঘরে ঢুকে গলা কেটে আফরোজাকে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে মিলি মায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখে চিৎকার করতে থাকে। পরে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বামী আবদুল মান্নান জানান, দুই মাস আগে তার বড় মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার ধারণা, ওই মামলার আসামিরাই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, হত্যার আগে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় পর্যন্ত মামলা হয়নি।

অন্যদিকে, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বগুড়া শহরতলির লাহিড়িপাড়া ইউনিয়নের যশোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজা মোল্লার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চার্জ দেওয়ার একটি গ্যারেজ আছে। প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম রুবেল ওই গ্যারেজে অটোরিকশা চার্জ দেন। রুবেল চার্জের অনেক টাকা বকেয়া ফেলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজা মোল্লা বকেয়া বিল দাবি করলে অটোচালক রুবেলের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রুবেল ও তার বাবা ইলিয়াস হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও রড দিয়ে রাজা মোল্লাকে বেদম মারপিট করেন। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রাজাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ রুবেল ও তার বাবা ইলিয়াসকে গ্রেফতার করে।’

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।