১৬ মাস পর নরসিংদীর দুই সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ

নরসিংদীর দুই সার কারখানা

দীর্ঘ ১৬ মাস বন্ধ থাকার পর গ্যাস সংযোগ পেয়েছে বিসিআইসি নিয়ন্ত্রণাধীন নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানা। শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে কারখানা দু’টিতে গ্যাস সংযোগ চালু করে তিতাস কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সার উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘোড়াশাল সার কারখানার সিবিএ-এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল গ্রীষ্মকালীন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে কারখানা দু’টিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। ফলে কারখানা দু’টির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

কারখানা কর্তৃপক্ষ ও সিবিএ নেতারা জানান, শুক্রবার বিকালে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার পর থেকেই কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা হচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে বয়লার চালু করা হবে। বয়লার চালু হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে  ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হতে পারে।

ঘোড়াশাল সার কারখানার সিবিএ-এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা দু’টি কেপিআই মান-১ বিশিষ্ট উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন কারখানা। প্রতি বছরই গ্যাস সংকটের কারণ দেখিয়ে ১৪শ’ ২২ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়াশাল সারকারখানাও ৩শ’ ৫ মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন পলাশ সারকারখানা দু’টিতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বছরের অধিকাংশ সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানা দু’টিকে ব্যাপক লোকসান ও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।’

পলাশ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা (পরিচালক) ইঞ্জিনিয়ার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সার কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের অনুরোধে ও সরকারি সিদ্ধান্তে শুক্রবার বিকালে পেট্রোবাংলা থেকে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই কারখানার বিভিন্ন অংশ এক এক করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদনের মূল প্রক্রিয়া শুরু হতে ৫-৭ দিন সময় লাগতে পারে।’

তিতাসের ঘোড়াশাল সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘোড়াশাল সার কারখানায় দৈনিক ৪২ মিলিয়ন ঘনফুট ও পলাশ সার কারখানায় ১৩ মিলিয়ন গ্যাসের প্রয়োজন পড়ে।