নওগাঁয় ওল চাষে আগ্রহ বাড়ছে, বিঘাপ্রতি মুনাফা লাখ টাকা

ওল চাষনওগাঁয় বাণিজ্যিকভাবে ওল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় চাষিদের মধ্যে ওল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ওল চাষে ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ হলেও বিক্রির পর লাভ হয় এক লাখ টাকার ওপরে।

নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের এখলাস উদ্দিন ও আলী হোসেন এবং মাধাইনগর গ্রামের আবুল কাশেম বাণিজ্যিকভাবে ওল চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ওল চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে আয় করছেন প্রায় এক লাখ টাকা। তাদের সংসারের যেমন এসেছে সচ্ছলতা, পাশাপাশি ওল চাষের প্রতি আগ্রহী করে তুলছেন অন্য কৃষকদের।

কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের এখলাস উদ্দিন জানান, ‘ওল সাধারণত বাড়ির উঠানে, কুয়ার পাশে কিংবা বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায়, যেকোনও স্থানে চাষ করা যায়। এভাবেই বাণিজ্যিকভাবে ওল চাষ শুরু করি। তিন বছর ধরে ওল চাষ করে আসছি। বর্তমানে এক বিঘা জমিতে ওল চাষ করছি।’ওল

হরিরামপুর গ্রামের আরেক ওল চাষী আলী হোসেন জানান, ‘চৈত্র মাসে জমিতে ওলের বীজ রোপণ করা হয়। ওলের পূর্ণতা পেতে ছয় মাসের মতো সময় লাগে। সেই হিসেবে আমরা ভাদ্র মাসে ওল উত্তোলন করে থাকি। একেকটি ওল ৮ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওল অত্যন্ত সুস্বাদু। এই কারণে বাজারে ওলের চাহিদাও অনেক বেশি।’

কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের মাধাইনগর গ্রামের আবুল কাশেম জানান, ‘এক বিঘা জমিতে মোট ওল উৎপাদিত হয় ১১০ থেকে ১২০ মণ পর্যন্ত। সিজনের প্রথম দিকে ১ মণ ওলের বাজার মূল্য ১ হাজার ২শ টাকা। সেই হিসেবে এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত ত্তলের বাজার মূল্য ১ লাখ ৩২ হাজার থেকে ১লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

ওল চাষ

মাধাইনগর গ্রামের আবুল কাসেম আরও জানান, ‘ওল চাষের তেমন খরচ নেই। বীজ ও গোবর সার মিলিয়ে খরচ হয় সর্ব্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা। কাজেই প্রতি বিঘা জমি থেকে ১ লাখ টাকারও বেশি মুনাফা করা যায়। এর ফলে ওল চাষ অত্যন্ত লাভজনক।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফরের উপপরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, ‘ওল একটি উপাদেয় তরকারি। এর পুষ্টিমানও অনেক। নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ওল চাষ শুরু করেছেন চাষিরা এবং তারা লাভবান হচ্ছেন। এব্যাপোরে কৃষি বিভাগ থেকেও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন- বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য গরুর গাড়ি