সংস্কারবাদীদের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করায় দুই কর্মীকে হত্যা: ইউপিডিএফ

ইউপিডিএফ
পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন দলের নেতারা। এর জন্য সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (এমএন লারমা) দায়ী করেছেন তারা। ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সংস্কারবাদী দলের নানা দুর্নীতি-অনিয়ম ও জাতীয় স্বার্থপরিপন্থী কার্যকলাপের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেওয়ার কারণে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।’

রাঙামাটির নানিয়ারচরে পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) ছেড়ে ইউপিডিএফে যোগ দেওয়ার ‘অপরাধে’ এই দুই কর্মীকে হত্যার অভিযোগ করেছেন ইউপিডিএফ নেতারা। শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোররাত আনুমানিক ৩টার দিকে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার মহালছড়ির সীমান্তবর্তী রামসুপারিপাড়া এলাকায় আকর্ষণ চাকমা (৪২) এবং শ্যামল কান্তি চাকমা সুমন্তকে (৩০) গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। তবে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)।

নিহত আকর্ষণ চাকমা একই এলাকার যুদ্ধমোহন চাকমার ছেলে এবং শ্যামল কান্তি চাকমা সুমন্ত আদরি পেদা চাকমার ছেলে।

এদিকে, আকর্ষণ চাকমা ও শ্যামল কান্তি চাকমা ওরফে সুমন্তকে হত্যার নিন্দা জানিয়ে এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার সময় সংস্কারবাদী জেএসএস-এর একদল সশস্ত্র সদস্য নানিয়াচর উপজেলার রামসুপারিপাড়ায় গিয়ে আকর্ষণ ও শ্যামল কান্তি চাকমাকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। নিহত দুজনই সংস্কারবাদী দল ত্যাগ করে ইউপিডিএফ-এর কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সংস্কারবাদী দলের নানা দুর্নীতি-অনিয়মের কথা প্রকাশ করে দেওয়ায় তাদের হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্বে আকর্ষণ ও শ্যামলের হত্যাকারী সংস্কারবাদী জেএসএস সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

অন্যদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের সংগঠন কোনোভাবেই জড়িত নয় বা আমরা কোনোভাবেই দায়ী নই। তাদের নিজেদের ঝামেলার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।’

আরও পড়ুন- নানিয়ারচরে দুই ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা