ফেনী মডেল থানায় ৩১ ঘণ্টা ধরে আটক ১০৯ যুবক



ফেনী মডেল থানায় আটক যুবকরাফেনী মডেল থানায় ৩১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটক ১০৯ যুবকের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি পুলিশ। বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) তাদের আদালতে উপস্থিত করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টা পর্যন্ত ওই যুবকদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তবে আটকদের বিষয় তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টার কমতি নেই দাবি করে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আটক ব্যক্তিরা ফেনী ও আশপাশের চার জেলার ১৩ থানার বাসিন্দা। তাদের সর্ম্পকে স্ব-স্ব থানা থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ওই সব থানা থেকে তথ্য পাওয়ার পর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের তথ্য পাওয়া যাবে না তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

আটক ব্যক্তিদের স্বজনদের অভিযোগ, থানার ছোট্ট গারদে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ও বসে থেকে সময় কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন আটক ব্যক্তিরা। তাদের খাওয়া, বিশ্রাম ও টয়েলেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের দাবি, বুধবার বিকালে শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়কের পাশের একটি ভবনে নাশকতার উদ্দেশ্যে কিছু যুবক জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ। পরে ওই থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে আটক যুবকদের দাবি তারা টিএনসি নামের একটি কোম্পানির সেলসম্যান হিসাবে প্রশিক্ষণ নিতে ওই ভবনে গিয়েছিলেন।

আটক ব্যক্তিদের স্বজনদের দাবি, পুলিশ সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাদের স্বজনদের আটক করেছে। তাদের দাবি টিএনসি নামে একটি ফুড সাপ্লায়ার কেম্পানির প্রশিক্ষণে অংশ নিতে তারা সেখানে গিয়েছিল। সেখান থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মী আখ্যা দিয়ে তাদের আটক করা হয়।

থানার সামনে আটক যুবকদের স্বজনদের ভিড়আটক একজনের পিতা ছালেহ আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মিথ্যা অভিযোগে আমার সন্তানকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর দীর্ঘ সময় ধরে তাদের থানায় আটকে রাখা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, থানার গারদে তাদের দাঁড়ানোর জায়গা নেই। বিশ্রাম, খাওয়া ও টয়েলেট ব্যবহারেও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সোহেল রানা নামে টিএনসির এক বিক্রয় প্রতিনিধি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আটক ব্যক্তিরা টিএনসি বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির সেলিব্রেশন প্রোগ্রামে যোগ দিতে বুধবার অফিসে গিয়েছিল। গত সাত দিন ধরে ওই স্থানে প্রশিক্ষণ চলছিল। ফেনী মডেল থানার পুলিশ কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে হয়রানির উদ্দেশে তাদের আটক করেছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, যুবকদের বিষয়ে দ্রুতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে।