এসআই ওবায়দুল আল মামুন শুক্রবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, যুবদল নেতা নূর মাহমুদ মুন্সীকে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। সন্ধ্যার পর আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় বুধবার রাতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুম্মান হাসান যুবদলের ১০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় উল্লিখিত অন্য আসামিরা হলেন– উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আজমল হুদা শহীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রিপন, যুবদল নেতা আবুল কাশেম, মঞ্জু মিয়া, লোকমান হোসেন, শাহীন, আকরাম হোসেন ও মজনু মিয়া।
উল্লেখ্য,গত বুধবার দুপুরে উপজেলার সাজাপুর টিএমএসএস ফিলিং স্টেশনের সামনে নীলফামারী থেকে ঢাকাগামী নাবিল ক্লাসিক নামে একটি কোচে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুই নারী যাত্রী আহত হন। টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় জেলা যুবদলের কৃষি বিষয়ক সহ-সম্পাদক নূর মাহমুদ মুন্সীকে গ্রেফতার করে। নূর করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।