ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় ১৬ জেলে দণ্ডিত

জব্দ কারেন্ট জাল পুড়ানো হচ্ছে (ছবি– প্রতিনিধি)

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অপরাধে চাঁদপুরে ১৫ জেলেকে এক বছর করে ও একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদী অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আটকের পর তাদের এ সাজা দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছেন– চাঁদপুর সদর উপজেলার মো. সোহান (১৮), শাহ আলম (৪২), মো. জুয়েল আখন (২৫), মো. মিন্টু মিজি (২০), মো. মনির (৩২), মো. মানিক (৩৭), হাইমচর উপজেলার মো. খোরশেদ খান (২১), আল আমিন চৌকিদার (২৩), মো. পলিন গাজী (৩৫), মো. চান মিয়া (৪৫), মো. ঈমান হোসেন (২৮), মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার (২৫), মতলব উত্তর উপজেলার মো. ছুন্নু গাজী (৫৫), সোনাতন চন্দ্র বর্মন (২৭), নিমাই চন্দ্র বর্মন (২৩), শরীয়তপুর জেলার চোকদারকান্দি গ্রামের মো. মামুন (২২)।

আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেন জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা সুলতানা খান হীরা মনি ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আকতার। এসময় জেলার মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদিন চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানে ২৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৫৮ কেজি ইলিশ, ৩টি নৌকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। নৌকাগুলো নৌ-পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আর জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে মামলা করা হয়েছে ১৬টি।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা সুলতানা খান হীরামনি বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অপরাধে আটককৃতদের সাজা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ ধরার অপরাধে মৎস্য রক্ষা আইন-১৯৫০ অনুযায়ী ন্যূনতম শাস্তি হলো এক বছর। আর সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছর।’

এ ছাড়া অন্য ৫ জনকে সাজা দেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আকতার।

প্রসঙ্গত, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য নদীতে মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ, বিতরণ, সংরক্ষণের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে।