আগামী বছর থেকে বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 

কেরানীগঞ্জে কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধন করছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুবিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, ‘আগামী বছর থেকে বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হবে। এই প্রকল্পটি প্রথমে কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করা হবে। প্রকল্পটি সফল হলে  সারা দেশে পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্প চালু করা হবে। সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় বহুতল বিশিষ্ট ‘অধ্যাপক হামিদুর রহমান কমিউনিটি সেন্টার’ নামে একটি সর্বাধুনিক কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।

কেরানীগঞ্জবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের কোনও বাড়ির পাশেই আর ময়লা থাকবে না। এসব ময়লা সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। একসময় কেরানীগঞ্জ শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিল। আমরা ক্ষমতা গ্রহণ করে গত ১০ বছরে কেরানীগঞ্জে শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। নতুন নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ করেছি। আমরা এখানে রাজনৈতিকভাবে কোনও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিইনি। কেরানীগঞ্জে চারলেন রাস্তা হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক উন্নত হয়েছে। এখানে মানুষের কাজের কোনও অভাব থাকবে না। কেরানীগঞ্জ হবে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত।’

প্রতিমন্ত্রী  জিনজিরার কমিউনিটি সেন্টার প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের জিনজিরায়  অধ্যাপক হামিদুর রহমানের নামে যে কমিউনিটি সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশের মধ্যে সর্বাধুনিক। এ ধরনের কমিউনিটি সেন্টার দেশের কোথাও নেই। সরকারিভাবে নির্মিত একটি সর্বাধুনিক কমিউনিটি সেন্টার এটি। এই কমিউনিটি সেন্টারে একটি লাইব্রেরি ও একটি কনফারেন্স রুম ও লিফটের ব্যবস্থা  আছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই কমিউনিটি সেন্টারে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যাবে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকু, তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. জজ মিয়া, শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ইকবাল হোসেন, জিনজিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী মুস্তাক হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু তার বাবা অধ্যাপক হামিদুর রহমানের নামে নবনির্মিত এই কমিউনিটি সেন্টারটির নামকরণ করেছেন। এটি কেরানীগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রীয় কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেন্টারটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। এটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় সাত কোটি টাকা। পরে মন্ত্রী মান্দাইল এলাকায় গকুলচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।