৯৯ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ সিলেট এসেছিলেন

111111

আজ মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর)। এক ঐতিহাসিক দিন। আজ থেকে ঠিক ৯৯ বছর আগে, ১৯১৯ সালের ৬ নভেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটের মাটিতে পা রেখেছিলেন। কবিগুরু সিলেটে পদার্পণ করার দিনই ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এরপর মাছিমপুর মণিপুরী পাড়া পরিদর্শনে যান তিনি। সেদিন মাছিমপুরের মণিপুরীদের পরিবেশিত মণিপুরী নৃত্য দেখে মুগ্ধ হন কবি। এরপর কমলগঞ্জের মণিপুরী গ্রাম বালিগাঁওয়ের নৃত্যগুরু নীলেশ্বর মুখার্জীকে নিয়ে যান শান্তিনিকেতনে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক পরিচিতি পায় এই নাচ। মণিপুরী নৃত্য খ্যাতি লাভ করে বিশ্বনন্দিত ধ্রুপদি নৃত্য হিসেবে। 

সেই যে সেবার সিলেটের ভূমিতে এসেছিলেন কবি, তখনই সিলেট ঘুরে প্রকৃতির রূপ-রস আর সংস্কৃতির আবহ দেখে এই জায়গাকে ‘শ্রীভূমি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন তিনি। স্থানীয়দের মুখে মুখে এসব তথ্য বহুল প্রচলিত। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও ঘুরে ফিরে প্রকাশ্য হয় এই ইতিহাস। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমনকে স্মরণে রাখতে মাছিমপুর মণিপুরী পাড়ায় সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন রবীন্দ্র স্মৃতিস্তম্ভ। এই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে এবার আয়োজন করা হয়েছে ‘শ্রীভূমি সিলেটে কবিগুরুর পদার্পণের ৯৯ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেটে পদার্পণ দিবস উদ্যাপন পরিষদ-২০১৮ কর্তক এটি আয়োজন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় কবি বরণ, ৪টা ১০ মিনিটে কবি প্রণাম, ৪টা ২০ মিনিটে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ৪টা ৩০ মিনিটে রাখাল নৃত্য, বিকাল ৫ টায় রাস নৃত্য, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে, আলোচনা সভা সন্ধ্যা ৬টায় এবং কবিগুরুকে নিবেদিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাত ৮টায়।  

অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মুখ্য আলোচক হিসেবে থাকবেন রবীন্দ্র গবেষক ও মেট্টোপলিটন ইউনির্ভাসিটি সিলেটের পরিচালক (অর্থ) মিহির কান্তি চৌধুরী।