আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ

প্রকল্পের নির্মাণকাজ পরির্দশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দল

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছেআখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হওয়ার পর দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সোমবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এই কাজের অগ্রগতি দেখতে ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আখাউড়া এলাকায় প্রকল্পের কাজ পরির্দশন করেছেন। ইন্ডিয়ান রেলওয়ের ডিএস (এসবি) শ্রী হিতেশ যুগেন্দ্র লাল রাজপাল, আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের উপদেষ্টা শ্রী তরুণ হরিয়া, কর্মকর্তা শ্রী গৌরব গান্ধী ও ইউএস (ডিপিএ-১) মিস সেলনি সাহাই নামে এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন। তারা বাংলাদেশ অংশের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের আখাউড়া গঙ্গাসাগর থেকে প্রকল্পের অংশ সীমান্তবর্তী গ্রাম শিবনগর পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা নির্মাণকাজের বিভিন্ন
বিষয়ের খোঁজখবর নেন। প্রকল্প কাজ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের পরিচালক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামানসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা।
পরির্দশন শেষে এই প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ভারতের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্প কাজে কোনও জটিলতা নেই। তবে ধানের ফসলের জন্য কিছু এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তারপরও যথাসময়ে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন এলাকা থেকে সীমান্ত গ্রাম শিবনগর পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ কিলোমিটার অংশে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভারতের টেক্সমেকো। এই কাজের জন্য ২৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ অংশের পুরো ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
প্রকৌশল বিভাগ আরও জানায়, বাংলাদেশের দিকে প্রথম রেলস্টেশন হবে আখাউড়া গঙ্গাসাগর। ভারতের নিশ্চিন্তপুর হবে সীমান্ত স্টেশন ও রেল ইয়ার্ড। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ হবে ডুয়েল গেজ। বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার মূল রেলপথ ছাড়াও ৪ দশমিক ২৫ কিলোমিটার লুপ লাইন রাখা হবে। তিনটি মেজর ও ২০টি মাইনর ব্রিজ নির্মাণ হবে। আখাউড়া, গঙ্গাসাগর ও নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থাও স্থাপন করা হবে। এই রেললাইন নির্মাণকাজ তদারকি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতের ইরকন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের জুন মাসে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।