বগুড়ায় এসএসসির ফরম পূরণে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ

বগুড়াবগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসির ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে  বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে অকৃতকার্যদের কাছে থেকে ২শ’ টাকা করে নিয়ে ফরম পূরণের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের বেতন আদায় চলছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফরম পূরণে বাধ্য হওয়ায় দরিদ্র অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের দাবি, বিদ্যালয়ের খরচ মেটাতে তিনি অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করছেন। অতীতের সকল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সভাপতিরা এই হারে টাকা গ্রহণ করতেন।  

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড বিভিন্ন খাতে প্রতি শিক্ষার্থীর ফরম পূরণে এক হাজার ৭শ’ টাকা নির্ধারণ করেছে। অথচ ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে ফরম পূরণে দুই হাজার ৪শ’ টাকা, ৬ মাসের বেতন ৬শ’ টাকা এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রতি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার জন্য ২শ’ টাকা করে আদায় করছেন। এ ছাড়াও কোচিং ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আরও এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। মানবিক বিভাগে ফরম পূরণে দুই হাজার ২শ’ টাকা এবং একইভাবে ৬ মাসের বেতন, কোচিং ফি ও অকৃতকার্য ফি নেওয়া চলছে। সোমবার বিকাল পর্যন্ত ১১০ জন পরীক্ষার মধ্যে ৯০ জন ফরম পূরণে করেছে।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া জানান, তার বাবা অসুস্থ, বাড়ি ছাড়া কোনও জমি নেই। ফরম পূরণের ৫ হাজার টাকা দিতে গিয়ে তাদের দাদন ব্যবসায়ীর কাছে যেতে হয়েছে। মানবিক বিভাগের ছাত্রী শাকিলা ও নূরী জানায়, নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার প্রতি বিষয়ের জন্য ২শ’ টাকা করে নেয়া হয়েছে। তবে এ বিনিময়ে কোনও রশিদ দেওয়া হয়নি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন জানান, ‘প্রধান শিক্ষক গত বছর আমার নির্দেশ অমান্য করে কোচিং ফি বাবদ এক হাজার টাকা করে আদায় করেছেন। এবারও ফরম পূরণে বেশি অর্থ গ্রহণ, কোচিং ফি নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সমাধান করা হবে। ’

সোনাতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজার রহমান জানান, ‘অতিরিক্ত হারে টাকা গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’