এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে মাগুরা শহর। সমস্ত শহর সাজানো হয়েছে মনোমুগ্ধকর তোরণ আর আলোকসজ্জায়। দূর-দূরান্ত থেকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এসেছেন এ উৎসবে যোগ দিতে। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে এটি হয়ে উঠেছে অসাম্প্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অষ্টমীর রাতে ঘুরে দেখা গেল দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছে এ উৎসবে যোগ দিতে। নড়াইল থেকে এসেছেন সুমনা সাহা। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘প্রতি বছরই কাত্যায়নী পূজায় আমি মাগুরায় আসার চেষ্টা করি। চমৎকার আয়োজন।’ মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রাম থেকে সপরিবারে এসেছেন সুকান্ত বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগে এটা ভেবে যে এই উৎসবকে হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে একটি মিলনমেলার রূপ দিয়েছে।’
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াসির আরাফাত বলেন,‘কাত্যায়নী পূজার কথা অনেক শুনেছি। এবার বন্ধুর সঙ্গে চলে এলাম দেখতে। না দেখলে কেউ বুঝতে পারবে না এটি কত বড় আয়োজন! আমার খুব ভালো লাগছে।’
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার সিংহ বলেন,‘সকলের সহযোগিতা না থাকলে এ ধরনের একটি উৎসব চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। রাতভর লাখো মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ ক্থোও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে না। মাগুরার মানুষ যে কতটা শান্তিপ্রিয় এবং অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা লালন করে তা এ উৎসব দেখলেই বোঝা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও তাদের তৎপরতার জন্য ধন্যবাদ।’