ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা

নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের  বন্দর উপজেলার মদনপুরে ইউপি মেম্বারকে কুপিয়ে  জখম এবং পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে আহত ইউপি সদস্যের স্ত্রী রোকেয়া রহমান এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাদিম মাছুম বাদী হয়ে এই মামলা দুটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার।

পুলিশ জানায়, রবিবার ( ১৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য খলিলুর রহমানের সঙ্গে একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া ও আলী মেম্বারের ছেলে আমির হোসেন সোহেলের বাসস্ট্যান্ডের পরিবহনের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরেই শামীম মিয়া ও আমির হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রবিবার দুপুরে খলিলুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেলে নিক্ষেপ, বাড়িঘর ভাঙচুর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করে। এতে এক এএসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধরা।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, ‘ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় শিল্পপ্রতি সুরুজ মিয়ার ছেলে শামীম মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আহত ইউপি সদস্যের স্ত্রী রোকেয়া রহমান বাদী হয়ে এই  মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ধামঘর পুলিশ ফাঁড়ির (এসআই) নাদিম মাছুম বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকশত লোকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।  ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে।’

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) খোরশেদ আলম জানান, ‘পুলিশ আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।’