বরিশাল বিমানবন্দরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ১০

বরিশালবরিশাল বিমানবন্দরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে অভ্যর্থনা জানাতে এসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ.এম আব্দুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নেতাকর্মীরা জানান, সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদীনকে বিমানবন্দরে পৌঁছালে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিমা রহমান গ্রুপের নেতাকর্মীসহ উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে যান। এ সময় জয়নুল অনুসারীরা প্রথমে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পরে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কচি তালুকদারের নেতৃত্বে সেলিমা গ্রুপের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে গেলে জয়নুলপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য খোকন বাঁধা দেন। এমনকি কচি তালুকদারকে ধাক্কা দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ তার অনুসারী নেতাকর্মীরা খোকনকে মারপিট করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দফায় দফায় প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে বরিশাল বিমানবন্দর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওই ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। পরে উভয় গ্রুপকে ধাওয়া করে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিমানবন্দর থানার ওসি এইচ.এম আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগেই উভয় গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। বাবুগঞ্জ উপজেলা

বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, বিএনপি প্রার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর সময় উপজেলা বিএনপি সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি তালুকদারের সঙ্গে  তারা যে আচরণ করেছে তা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক।