বরিশালে বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মী কারাগারে

কারাগার

বরিশালে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় মেহেন্দিগঞ্জ বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

৩৯ নেতাকর্মী হলেন– রিয়াজ শাহিন লিটন, রেজাউল খান, কামরুল মোল্লা, রিয়াজ উদ্দিন সুজন, রিয়াজ উদ্দিন চৌধূরী দিনু মিয়া, সালাউদ্দিন পিপলু, সৈয়দ তুহিন, ইউনুছ হাওলাদার, হালিম ফকির, পারভেজ খন্দকার, প্রিন্স মাহমুদ, সোলায়মান নিক্সন, কামরুল হাসান কাজল, মাহামুদ খান, রুপক মিয়াজি, আকতার মুন্সি, জামাল নলী, সাইফুল ইসলাম, শাহিন হাওলাদার, আমজাদ পোদ্দার, ফারুক হোসেন, সৈয়দ আকবর, খোকা হাওলাদার, মিল্টন চৌধূরী, রিপন চৌধূরী, আমির দেওয়ান, সবুজ মাঝি, নাছির ফকির, মুরাদ হাওলাদার, মনির হোসেন, মনির সওদাগর, মঞ্জু ভূইয়া, কামাল মাঝি, মাহেব দেওয়ান, মিজান মাঝি, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মামুন হাওলাদার, বাতেন শাহ ও নজরুল খান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মালেক জানান, মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৪ নভেম্বর মেহেন্দিগঞ্জ আম্বিকাপুরে অটোবাইক মালিক ও চালক সমিতি অফিসের সামনের রাস্তায় নাশকতা করতে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের উদ্দেশ ছিল, জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে একাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচাল করা। এসময় তারা একটি বাইক ভাঙচুর ও তাতে আগুন দেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভাঙা বাইক, ৩টি পেট্রোল বোমা, অটোবাইকের পোড়ানো টায়ার, ৩ ফুট করে লম্বা ১৪টি লোহার রড, ৮টি লাঠি উদ্ধার করে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ওই দিন এ ঘটনায় মেহেন্দিগঞ্জ থানার পিএসআই মোস্তফা কামাল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুক্তাসহ নামধারী ৪১ জন ও অজ্ঞাতনামা ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। গত ১৩ নভেম্বর এজাহারভুক্ত ৪১ নেতাকর্মী উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের জামিন দেন।

তিনি জানান, জামিন শেষে আজ (বুধবার) দুপুরে বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩৯ নেতাকর্মী আত্মসর্মপণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।