লালমনিরহাটে ট্রেন-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে আ.লীগ নেতা নিহত, আহত ১

লালমনিরহাটলালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাজীরহাট রেলওয়ে ক্রসিং এলাকায় বুড়িমারীগামী কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী আবুল কালাম আজাদ (৪২) মারা গেছেন। ওই মোটরসাইকেলে থাকা অপর আরোহী আরিফুজ্জামান টিটু (৩৬) গুরুতর আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাজীরহাট রেলওয়ে ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল কালাম আজাদ রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আবু বক্করের ছেলে। গুরুতর আহত আরিফুজ্জামান টিটু একই ইউনিয়নের আবদুল গফুরের ছেলে ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার।

গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাসুদার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহত আবুল কালাম আজাদের মরদেহ নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত আরিফুজ্জামান টিটুর চিকিৎসা চলছে।’

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানা পুলিশের (জিআরপি) উপ-পরিদর্শক আদম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বুড়িমারীগামী ৭১/৭২ কমিউটার ট্রেনটি কাকিনা কাজীরহাট রেলওয়ে ক্রসিং অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহীরা ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আরোহী আবুল কালাম আজাদ ও আরিফুজ্জামান টিটুকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কালাম আজাদ মারা যান। অপরজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রংপুর কোতয়ালি থানা পুলিশ আইনগত  ব্যবস্থা নিয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের (রাজশাহী) অতিরিক্ত প্রধান (সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল) এবং লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। কিন্তু ওই রেলক্রসিংটিতে আমাদের কোনও গেটম্যান নেই। পথচারীসহ যানবাহন চলাচলকারীদের নিজ দায়িত্বে পারাপারে জন্য সাইনবোর্ড রয়েছে। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি।’