মহালছড়িতে পাহাড়ের ওপরে ড্রাগন চাষে সফলতা

22

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪শ’ ফুট ওপরে পাহাড়ের গায়ে ফল ড্রাগন চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মহালছড়ি উপজেলার কৃষক হ্লাচিং চৌধুরী। ড্রাগন চাষ করে দুই বছরের মাথায় ফলন পেয়ে বিনিয়োগের টাকা প্রায় তুলে ফেলেছেন তিনি। এই বছর থেকে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী এই চাষি। তিনি পাহাড়ের ড্রাগন চাষিদের মধ্যে অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

হ্লাচিং মং চৌধুরীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়,  চাকরির পেছনে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে ২০১৬ সালের শেষ দিকে মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি রাস্তার পাশে প্রায় ১০ একর জায়গায় গড়ে তোলেন ড্রাগন ফলের বাোন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪শ’ ফুট ওপরে প্রথম বছরে ২০০টি ড্রাগন ফলের গাছ লাগান। ২০১৭ সালে আরও ২৫০ গাছ লাগান। শুরুতে পানি সরবরাহসহ নানা কষ্ট হলেও একপর্যায়ে তা সমাধান করার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। পরের বছরেই পেয়েছেন ১৫০-২০০ কেজি ড্রাগন ফল। নিজের পরিবারের ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিকেজি ফল ৪৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাগানটিতে প্রায় ১০০০ ড্রাগন গাছ পিলারসহ স্থাপন করা হয়েছে। এই বাগানের ড্রাগন গাছগুলো কমপক্ষে ১২-১৩ বছর টিকে থাকবে।

1

হ্লাচিং মং চৌধুরীর আশা, পুরো বাগানে উৎপাদন শুরু হলে বাণিজ্যিকভিত্তিতে বাইরেও বিক্রি করতে পারবেন ড্রাগন ফল।

এই বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী অনুপ মহাজন জানান, হ্লাচিং মং চৌধুরী এখন মহালছড়ি উপজেলার মডেল কৃষক। তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ও এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান যেমন সৃষ্টি করেছেন, তেমনি অর্থনীতির চাকাও সচল করেছেন।

33

মহালছড়ি উপজেলার সংবাদকর্মী শাহদাত হোসেন বলেন, ‘হ্লাচিং মং চৌধুরীর ড্রাগন বাগানে কাজ করে কমপক্ষে ১০-১২ পরিবারের জীবন-জীবিকা চলছে। তার বাগান দেখে অনেকে উৎসাহিত হচ্ছেন।’

মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না নাজনীন উর্মি বলেন, ‘গত কৃষি মেলায় ড্রাগন ফল চাষি হিসেবে পুরষ্কৃত হয়েছে হ্লাচিং মং চৌধুরী। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে উৎসাহিত করেছি। তার দেখাদেখি অনেক কৃষক ড্রাগন চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।’