টেকনাফ সীমান্তে সর্তক অবস্থানে বিজিবি

নাফনদী পেরিয়ে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কায় কক্সবাজারের টেকনাফে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক আবস্থানে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার র্গাড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারনে এই সর্তকতা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টেকনাফ বিজিবির ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নাফনদী পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে আবারও নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় সীমান্তজুড়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও মাদক ঠেকাতে সীমান্তে রাত-দিন টহল দিয়ে যাচ্ছে বিজিবির সদস্যরা। যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।  

বিজিব ‍সূত্র জানায়, টেকনাফ উপজেলা সীমান্তের হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, ঝিমংখালী, খারাংখালী, হ্নীলা, লেদা,  নয়াপাড়া, দমদমিয়া, টেকনাফ সদর, নাজির পাড়া, সাবরাং ও শাহ পরীর দ্বীপ এলাকার সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া এসব সীমান্তে বসবাসকারীদের নাফ নদীতে মাছ ধরা ও চলাচলে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডেভলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মতলব বলেন, ‘নতুন করে মিয়ানমারে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তা রোহিঙ্গাদের ওপর প্রভাব পড়লে আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।’  

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীদের অভিযানের মুখে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এসেছে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা শিবিরে ১২ লাখে মতো রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তার মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও শিশু।