নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা

নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আশিক হোসেন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২-৩শ’ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। 

এসআই আবু হানিফ জানান, গত শনিবার বন্দর থানা পুলিশের একটি টিম মদনপুরের চানপুর এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মদনপুরে ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলুর রহমান ও যুবলীগ নেতা আমির হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে  ঝাপিয়ে পড়ে। দুই পক্ষের সংর্ঘষে সময় আশিক হোসেন (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২-৩শ’ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) খোরশেদ আলম  বলেন, ‘তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  

উল্লেখ্য, শনিবার রাত পৌনে ৭টার দিকে পুলিশের একটি দল উপজেলার মদনপুরের চাঁনপুর এলাকায় আসামি ধরতে যায়। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান সমর্থক আসামি দিপু ও সুজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ দুই আসামিকে গাড়িতে তুলে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে রাখে। এসময় দিপু সমর্থক ও এলাকার লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে টেঁটা, বল্লম ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ ১৫ জন আহত হন। এসময় বাবুল (২২) নামের পথচারী ও পোশাক কারখানা শ্রমিক আশিক গুলিবিদ্ধ হন। তাদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে আশিক মারা যান।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৩ দিনের মধ্যে  তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।