জামালপুর জেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জামালপুর সদর উপজেলার মধ্য পাথালিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ পাথালিয়া, চন্দ্রা, পিয়ারপুর, সেনেরচর, বানারেরপাড় এলাকা এবং ইসলামপুর উপজেলার পিরিজপুর, ডেফলারচর ও শভুপুর এলাকায় এবার ব্যাপকভাবে তুলার চাষ হয়েছে।
শুভ্র তুলায় ভরে উঠেছে চরের ক্ষেতগুলো। কৃষকদের এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটছে তুলা ওঠানোর কাজে। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের চরের শুষ্ক ভূমিতে ধান ফলানো কঠিন। আখ, পাট, সরিষা, কলাই ও অন্য ফসল করেও খুব একটা লাভের মুখ দেখা যায় না। এজন্য গত কয়েক বছর যাবৎ চরাঞ্চলে ক্রমশ বাড়ছে তুলার চাষ। অনুকূল আবহাওয়ায় ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজার ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।
জামালপুর সদরের মধ্য পাথালিয়া এলাকার তুলা চাষি সোলায়মান হাকিম, ইব্রাহিম সরকার, খলিলুর রহমান খলিল, মফিজ সরকার ও রুবেল মিয়া জানান, তুলা চাষ করতে প্রতিবিঘা জমিতে কৃষকদের গড়ে খরচ হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর জাতভেদে বিঘাপ্রতি তুলার ফলন পাওয়া যায় ৮ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত।
জামালপুর জেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার বীজ তুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৭৫০ মেট্রিক টন ধরা হয়েছে। গত বছর বীজ তুলার উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৬৫০ মেট্রিক টন। এবার আশতুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ বেল। গত বছর আশতুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৩০ বেল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তুলার ফলন ভালো হয়েছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকরা এবার লাভবান হবে। কৃষকদের তুলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের সহায়তা।’
এবার জেলার ২২৫ হেক্টর জমিতে সিবি ১২, সিবি ১৪, সিবি হাইব্রিড-১, রুপালি-১ ও ডিএম-৩ জাতের তুলার চাষ হয়েছে। এ বছর তুলা উন্নয়ন বোর্ড মণপ্রতি তুলার দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
জামালপুর জেলায় অনাবাদি খাস জমি রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরের বেশি। এসব চরের অনাবাদি জমিতে তুলা চাষ করা গেলে শুধু কৃষকই লাভবান হবেন না, তুলা আমদানিতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থেরও সাশ্রয় হবে।