সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান রেলমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন নূরুল ইসলাম সুজন (ছবি– প্রতিনিধি)

সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে যাতে দায়িত্ব পালন করে যেতে পারেন, সেজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে সরকারের সংযোগ তৈরিতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনমানুষের কল্যাণে সাংবাদিকতা পেশাকে কাজে লাগাতে হবে। লেখনীর মাধ্যমে দেশের তৃণমূলপর্যায়ের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সরকার পরিচালনায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে হবে।’

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতির নামে যারা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করে, তাদের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে না। ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিকৃত করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনও আপস নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. গোলাম আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় চেম্বারের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, এস এ মাহমুদ সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে পঞ্চগড় রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে এক সুধী সমাবেশে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে রেলওয়েকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। সেই মৃতপ্রায় রেলওয়েকে পুনরুজ্জীবিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়েকে ঢেলে সাজানোর উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে রেলওয়েকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে রেলমন্ত্রণালয় করেন।’