অন্য দাবিগুলো হলো- পরিবেশ পরিষদ গঠন করে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সহাবস্থান নিশ্চিত করা, রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত নয় এমন শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলকে সুবিধা প্রদান না করা, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া এবং ভোট কেন্দ্রগুলোকে সিসি ক্যামরার আওতায় আনা।
সংলাপ কমিটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে প্রক্টর দফতরে সংলাপ শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংলাপে তারা রাকসু নির্বাচনের খুঁটিনাটি বিষয়ে মত দেন। সংলাপে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি তাসবির-উল ইসলাম কিঞ্জলের নেতৃত্বে সংগঠনটির রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মহব্বহ হোসেন মিলনসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান ও সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
তাসবির-উল ইসলাম কিঞ্জল বলেন, ‘আমরা ৭টি দাবি জানিয়েছি। এর মধ্যে রাকসু সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্ব ও হলের বাইরে ভোট কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বিমত পোষণ করেছে। বাকি দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
রাকসু সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘তারা যেসব দাবি জানিয়েছে তার মধ্যে সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্ব ও হলের বাইরে ভোট কেন্দ্র স্থাপনের দাবি রাকসুর গঠনতন্ত্র বিরোধী। তাই আমরা বলেছি সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে ফের সংলাপে বসা হবে।’
প্রসঙ্গত, রাকসু নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসার জন্য ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ও নিবন্ধিত দশটি সংগঠন তাদের গঠনতন্ত্র জমা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু হলো। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রমৈত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবে কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাকি সংগঠনগুলোর সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছেন প্রক্টর।