শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মালিগাছা ইউনিয়নের ক্ষুদ্র মাটিয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃষ্টি খাতুন ওই গ্রামের জালাল বিশ্বাসের মেয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে পাবনার নয়নামতি মহল্লার বাসিন্দা আলাই বিশ্বাসের ছেলে মোমিন হোসেনের (২০) সঙ্গে বৃষ্টির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বৃষ্টির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল মোমিন। নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় বছর খানেক আগে বাবার বাড়িতে চলে আসে বৃষ্টি। বৃষ্টিকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানা চেষ্টা করে মোমিন। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য বৈঠকও হয়। কিন্তু তাতেও সফল না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় মোমিন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টির বাড়িতে যায় মোমিন। এ সময় বৃষ্টিকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে সে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
ছুরিকাঘাতের পর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত বৃষ্টিকে দ্রুত উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলা ৩টার দিকে মারা যায় বৃষ্টি।
এ ব্যাপারে ওসি ওবাইদুল হক বলেন, ‘গৃহবধূ বৃষ্টির মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। ঢাকায় নেওয়ার পথে সে মারা গেছে। মরদেহ পাবনায় আসার পর আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’