পারভীনের লাশ দেশে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা

নিহত হুসনে আরা পারভীন

নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকার মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সিলেটের হুসনে আরা পারভীনের (৪২) মরদেহ দেশে আনার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। কারণ, মরদেহ দেশে পাঠানোর বিষয়ে অনীহার প্রকাশ করেছেন পারভীনের স্বামী ফরিদউদ্দিন আহমদ। শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন পারভীনের বড় বোন রওশন আরা।

এদিকে, এমন বেদনাদায়ক মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন পারভীনের স্বামীর বাড়ি ও তার বাবার বাড়ির লোকজন। আত্মীয়স্বজন প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। পারভীনের স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর মিরেরচক গ্রামে।

রওশন আরা বলেন, ‘পারভীনের মরদেহ দেশে নিয়ে আসা এখনও অনেকটা অনিশ্চিত। আমার বোনের লাশ এখনও পুলিশের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে রয়েছে। বিদেশে থাকা আমার বোনের স্বামীসহ অন্যরা লাশ দেশে পাঠাতে অনীহার কথা জানিয়েছেন।’  

একমাত্র মেয়ের সঙ্গে ফরিদ উদ্দিন ও পারভীন

তিনি বলেন, ‘নিউ জিল্যান্ড প্রবাসী আমার ভাই কাওসার আহমদও  গত বছরের ৮ মে অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার লাশও দেশে আনা আনা হয়নি। পারভীনের মৃত্যুর খবরটি যখন শুনি, বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ও আমাদের খুব আদরের বোন ছিল। সপ্তাহে কয়েকবার আমাদের ফোন করতো সে।’

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে  হুসনে আরা পারভীনের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর এই দম্পতি নিউ জিল্যান্ডে যান। সর্বশেষ ২০০৯ সালে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা। স্বামী, একমাত্র মেয়ে ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় থাকতেন হুসনে আরা পারভীন। 

আরও  পড়ুন:
নিউ জিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা: স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে নিহত হলেন সিলেটের পারভীন